১. সাধারণ অনুদান

সাধারণ অনুদানের প্রাপ্ত অর্থ ফুরফুরা দরবারের মার্কাজে ইশাআতে ইসলাম পরিচালিত সকল কল্যানমূলক কার্যক্রমের জন্য উন্মুক্ত থাকে । দাওয়াহ, সেবা ও শিক্ষাখাতে এই অনুদান ব্যয় করা হয়ে থাকে।

২. এতিমখানা প্রজেক্ট
ঢাকার দারুসসালামে প্রায় ৫০০ জন অসহায় ও এতিম ছাত্রদের আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে তারা দরসে নেজামীর সিলেবাসে শিশু শ্রেণী থেকে দাওরায়ে হাদীস পর্যন্ত অধ্যয়ন করতে পারবে। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতিমখানা প্রজেক্ট একটি সাদকায়ে জারিয়াহমূলক প্রকল্প, যার সাওয়াব মৃত্যুর পরও আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে ইন-শা-আল্লাহ।

৩. সাদকাহ
ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেছেন, বিপদ-আপদ প্রতিহতের ক্ষেত্রে সদকার বিশেষ প্রভাব আছে। এমনকি কোনো পাপাচার, জালিম কিংবা কাফিরও যদি সাদকাহ করে, আল্লাহ তাআলা এর দ্বারা তার থেকে বিপদ দূর করে দেন। (আল-ওয়াবিলুস সায়্যিব : ১/৩৮)। আপনার সাদকাহ ইয়াতীম ও অসহায়দের খাবারের খরচে ব্যয় করা হয়। চাইলে আপনি সরাসরি এসে কিনে দিতে পারেন।

৪. কাফালত
সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেন ‘আমি ও ইয়াতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব (তিনি তর্জনী ও মধ্য অঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করেন।’(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১৫০)
একজন ইয়াতীম অথবা অসহায়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করে আপনিও অংশ নিতে পারবেন। প্রতিমাসে ৩৫০০ টাকা খরচ দিয়ে একজন অসহায় অথবা ইয়াতীমের ভরণপোষণের জিম্মাদারী নিতে পারবেন।

৫. মাসিক অনুদান
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উপমা একটি বীজের মত, যা উৎপন্ন করল সাতটি শীষ, প্রতিটি শীষে রয়েছে একশ’ দানা। আর আল্লাহ যাকে চান তার জন্য বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৬১)
প্রতিমাসে ছোট হোক কিন্তু একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ দানে আমরা অভ্যস্ত হই।

৬. যাকাত ফান্ড
আপনার সম্পদ পবিত্র করার খাত। আপনার সম্পদে গরিবের হক হলো যাকাত। প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম যিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে ধন-সম্পদের মালিক – যা ‘নিসাব’ নামে পরিচিত তাকে অবশ্যই তার সম্পদের ২.৫% যাকাত হিসাবে দিতে হবে। আপনাদের দেয়া যাকাতের অর্থ আমরা এর প্রকৃত হকদারের কাছে পৌঁছে দেই।