ফুরফুরার ইতিহাস

একনজরে ফুরফুরার পরিচয়

মানবজাতিকে মহান আল্লাহর ভালবাসার সঠিক পথ শিখিয়েছেন ও পূর্ণতম বাস্তব আদর্শ স্থাপন করেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর পরে এই পথের শ্রেষ্ঠতম পথিক ছিলেন তাঁরই সহচর সাহাবাগন; তাঁদের পরে তাঁদেরই উত্তরসূরী তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী, এভাবে ধারাবাহিকভাবে যুগে যুগে হাক্কানী ওলামা ও পীর—মাশায়েখগন। ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা:)—এর বংশধর ফুরফুরার পীর সাহেবগণ এই নূরানী কাফেলার অন্যতম অগ্রসেনানী।
আরবের বুকে নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ডাকে সাড়া দিতে সমাজের গণ্যমান্য কেউ যখন আল্লাহ্্র সত্য ধর্ম গ্রহণে এগিয়ে আসেনি, তখন উচ্চ বংশীয় এবং সর্বত্র সম্মানিত সায়্যিদিনা হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা:) সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণ করে বিজয়ের সূচনা করলেন। সেই থেকে ইসলামের জন্য তাঁর খেদমত ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে। তিনি ইসলামের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী, নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শ্বশুর ও হিযরতের সাথী, ইসলামের প্রথম খলিফা। যাকাত অস্বীকারকারী এবং ভণ্ড নবীর বিরুদ্ধে তিনি অস্ত্র হাতে জিহাদ করেছিলেন। তিনি দ্বীনের দাওয়াত, তাবলীগ ও জিহাদের কাজে দূর দূরান্তে বিভিন্ন দেশে বাহিনী পাঠিয়েছেন। সিদ্দিকে আকবার (রা:)—এর এই কাজের ধারা অনুসরন করে তাঁর বংশধরেরা ইসলামের স্বার্থে হিজরত করে আরব ছেড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন। হিজরতের এই ধারাবাহিকতায় হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা:)—এর বংশধরগণ এক পর্যায়ে মধ্য এশিয়ার খোরাসান, ইরাকের বাগদাদ, ভারতের মুশীর্দাবাদ, মেদেনীপুরসহ বিভিন্ন এলাকা হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার ফুরফুরায় এবং অবশেষে বাংলাদেশে এসেছেন এবং সকল বাতেল পথ ও মতের বিরুদ্ধে যুগে যুগে জিহাদ করেছেন।
ফুরফুরার বর্তমান গদ্দীনশীন পীর হযরত মাওলানা আবুবকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী এই বংশের ৪২তম সন্তান। হিজরতের ধারাবাহিকতায় তাঁর উর্ধ্বতন পুরুষ খাজা মুহাম্মদ রুস্তম (রহ:) তৎকালীন মধ্য এশিয়ার খোরাসানে বসবাস করছিলেন। চেঙ্গিস খানের দৌরাত্মের সময় তিনি হিজরত করে ভারতে চলে আসেন। তাঁর পুত্র মাওলানা জিয়াউদ্দীন জাহেদ সিদ্দিকী (রহ:) ইশাআতে ইসলামের জন্য এলাহাবাদ জেলার ‘ক্রীড়া—মানিকপুরে’ অবস্থান করেন। তাঁর পুত্র মাওলানা মনসুর বাগদাদী (রহ:) বাগদাদে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবন (১২৬৬Ñ৮৭ খৃস্টাব্দ মোতাবেক ৬৬৪Ñ৬৮৫ হিজরী)—এর সময় ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ভারতের হুগলী জেলায় আগমন করেন এবং সৈয়দ হোসেন বুখারী (রহ:)—এর সেনাপতিত্বে অমুসলিম রাজার বিরুদ্ধে জিহাদ করে ফুরফুরায় ইসলামের বিজয় নিশান উড্ডীন করেছিলেন। এরপর তিনি এ অঞ্চলেই স্থায়ীভাবে থেকে যান ও ইশাআতে ইসলামের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। হযরত মনসুর বাগদাদী (রহ:)—এর পর থেকে তার বংশধরেরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলে বসবাস করে ইশাআতে ইসলামের কাজ করে যাচ্ছেন।
হযরত মনসুর বাগদাদী (রহ:)—এর ৯ম ও সিদ্দিক বংশের ৩৩তম অধ:স্তন পুরুষ হলেন হযরত মোস্তফা মাদানী (রহ:)। তিনি মোজাদ্দেদে আলফেসানী (রহ:)—এর পুত্র হযরত মাসুম রাব্বানী (রহ:)—এর বিশিষ্ট খলিফা ও মোগল বাদশাহ আলমগীরের পীর ভাই ছিলেন। তার নামে ভারতের একটি অংশ ‘মাদানীপুর’ বা ‘মেদেনীপুর’ নামে খ্যাত যা তাঁদের মর্যাদা ও আভিজাত্যের প্রতীক।
এই সিদ্দিক বংশের ৩৯তম নিম্ন পুরুষ হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মারুফ আবুবকর সিদ্দিকী (রহ:) মোজাদ্দেদে জামান ও আমীরুস শরীয়ত হিসেবে সমগ্র বিশ্বে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। সৌদি আরব থেকে তিনি ৪০টি হাদীসের কেতাবের সনদ পেয়েছিলেন। আরবের বাদশাহকে তিনি হেদায়েতী পত্র লিখেছিলেন, যার উত্তর আজও সযত্নে রাখা আছে। বাংলা ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়াজ—নসিহত, হাজার হাজার মাদ্রাসা—মসজিদ প্রতিষ্ঠা, দ্বীনি বই—পুস্তক ও পত্র—পত্রিকা প্রকাশ, শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদানের কথা ‘ইসলামী বিশ্বকোষে’ বর্ণিত হয়েছে।
এই বংশের ৪০তম নিম্ন পুরুষ শায়খুল ইসলাম হযরত মাওলানা আবু নসর মুহাম্মদ আব্দুল হাই সিদ্দিকী (রহ:) প্রায় চল্লিশ বছর ধরে বাংলা ভারতের আনাচে—কানাচে দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন। শিক্ষা বিস্তারের জন্য তিনি সারা দেশে বহু মাদ্রাসা—মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর ওয়াজ মাহফিলে হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হত। ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে ‘বিশ্ব ইসলাম মিশন’ প্রতিষ্ঠা তাঁর অমর কীর্তি।
পরবতীর্তে এই বংশের ৪১তম পুরুষ মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাওলানা আবুল আনসার মুহাম্মদ আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী (রহ:) ছিলেন সমকালীন পীর মাশায়েখগণের মুরুব্বি, বিখ্যাত ওয়ায়েজ, সমাজ সংস্কারক ও জাতির একজন প্রধান আধ্যাত্মিক নেতা। তাঁর সুষ্পষ্ট ও শরীয়তসম্মত বক্তব্য, শিরক ও বিদআত বিরোধী অবস্থান এবং সত্যের পক্ষে মজবুত ও আপোষহীন দৃঢ় প্রত্যয়ের জন্য তাঁকে বলা হয় ‘শেরে ফুরফুরা’ বা ফুরফুরার বাঘ। বিশ্ব মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য দেশবাসী তাঁর উপাধী দিয়েছেন ‘আমীরে ইত্তেহাদ’। বহু দ্বীনি সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, মসজিদ, খানকাহ, ইয়াতিমখানা, বহুমুখি ইসলাম প্রচার কেন্দ্র, মুসাফিরখানা, কুতুবখানা, ঈদগা, মিডিয়া, পত্র—পত্রিকা, বইপুস্তক, গবেষণা ও প্রকাশনা সংস্থা ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি হেদায়েতের কাজকে সম্প্রসারিত করে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।
তাঁর ইন্তেকালের পর ফুরফুরার বর্তমান পীর সিদ্দিক বংশের উজ্জল নক্ষত্র হযরত মাওলানা আবুবকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়ে কাজ করছেন। শিরক বিদআতের বিরুদ্ধে তিনি সর্বাত্মক জিহাদ ঘোষণা করেছেন। সকল প্রকার বাতেল মতবাদ ও ভ্রান্ত আকীদা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার। পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি বহুমুখি কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সমস্ত বাংলাদেশে ও ভারতে ছড়িয়ে থাকা দরবারে ফুরফুরার দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি আপ্রান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাকশী ও দারুস্্সালামে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। দেশের আনাচে—কানাচে, শহরে, গ্রামে—গঞ্জে ঘুরে ঘুরে তিনি ওয়াজ মাহফিল করছেন। মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছেন। নিজের আরামকে হারাম করে সারা বছর এভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে সফর করে বেড়াচ্ছেন। সমাজে প্রচলিত শিরকী বিদআতী আকীদা বিশ্বাস ও কাজগুলোর অসারতা ও জঘন্যতা প্রমাণ করে মুসলমানদের এগুলো পরিত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছেন। আধুনিক অন লাইন ডিজিটাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াতকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেবার লক্ষে তিনি বিশেষ কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন

নসবনামা

 

ফুরফুরার গদ্দীনশীন পীর সাহেবের নসবনামা বা বংশ লতিকা

নসবনামা বা বংশ লতিকা প্রণয়ন বড় কঠিন বিষয়। প্রকাশ থাকে যে, বংশ লতিকায় অমুকের পুত্র অমুক সর্বত্র বলা হয়নি। প্রকাশিত বিভিন্ন বংশ-তালিকা সম্বন্ধে ঐক্যমত্যে পৌঁছান খুবই দুরূহ। আল্লামা শিবলী নোমানী তাঁর বিখ্যাত সীরাত গ্রন্থ সীরাতুন্নবী পুস্তকে (১/১৫১-১৫৩ পৃষ্ঠা) কম-বেশি হওয়ার ঐতিহাসিক তথ্য পেশ করেছেন। আল্লামা সুহাইলীর রওযুল উনফ কিতাবের বরাত দিয়ে দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করেছেন আদনান এবং হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর মধ্যে চার কিম্বা সাত পুরুষের দূরত্ব যা বর্ণনা করেছেন, তাঁদের তথ্য ঠিক নয়। কেননা ঐ দুয়ের মধ্যে অনেক দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। আদনান থেকে হযরত ইসমাঈল (আ.) পর্যন্ত দূরত্ব ছিল চল্লিশ পুরুষের।

এ ভুলের প্রধান কারণ এই যে, আরববাসীরা নসবনামায় শুধু বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম উল্লেখ করাই যথেষ্ট মনে করত। মাঝখানে অনুল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের নাম সাধারণত বাদ দিয়ে দিত। তদুপরি আরবগণের নিকট যেহেতু আদনানের হযরত ইসমাইল (আ.)-এর বংশধর হওয়ার স্বপক্ষে অকাট্য ও সর্বজন স্বীকৃত তথ্য ছিল, কাজেই তারা কেবল সঠিকরূপে আদনান পর্যন্তই বংশীয় সূত্র পৌঁছানোর চেষ্টা করত এবং তার উপরের ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে অন্যদিগকে পরিত্যাগ করত।

নাম কম-বেশি ও ভিন্ন হওয়ার আরও কারন থাকতে পারে। তার অন্যতম বংশ পরম্পরায় নসবনামা তৈরির সময় উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষদের একাধিক সন্তান-সন্তুতির সন্ধান পাওয়া যায়। ফলে শাখা প্রশাখা বিস্তার করেছে। কাজেই নিজের প্রয়োজনে একাধিক সন্তানের নাম উল্লেখ করেছেন। অনেক সময় একই বংশের দু’দশ পুরুষের মধ্যে একই নামের একাধিক ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। কেহ উপর থেকে মিলানোর চেষ্টা করেছেন, কেহ নিম্ন থেকে, কেহবা একই নামের যে কোন একটি থেকে উল্লেখ করেছেন। ফলে বংশ পরম্পরায় কম-বেশি হয়েছে।

আমাদের প্রকাশিত নসবনামাটি মোজাদ্দেদে জামান হযরত আবু বকর সিদ্দিকী ফুরফুরাভী (রহ.) এবং তাঁর অন্যতম খলিফা সুফি তাজাম্মুল হোসেন সিদ্দিকী (রহ:) প্রমুখ সম্মিলিতভাবে প্রণয়ন করে ছাপিয়ে প্রকাশ করে ছিলেন। আমাদের কাছে এ ছাড়া তেমন কোন গ্রহণযোগ্য প্রামাণ্য দলিল না থাকায় এটিই সাদরে গ্রহণ করেছি। হযরত ইব্রাহীম (আ:) হতে বর্তমান পীর শায়খ আবু বকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী হাফিজহুল্লাহ পর্যন্ত বংশ তালিকা নিম্নে পেশ করা হলো-

(১) হযরত সায়িদেনা ইবরাহীম (আ.)

(২) হযরত ইসমাইল (আ.)

(৩) কিনইয়ার

(৪) হামান

(৫) সাবেত

(৬) সালমান

(৭) হামেদ

(৮) উদাদ

(৯) উদ্দা

(১০) আদনান

(১১) মায়াদ

(১২) নেজার

(১৩) মোফার

(১৪) হযরত ইলইয়াস

(১৫) মাদরেকা

(১৬) খোজায়মাহ

(১৭) কেনানা

(১৮) নাসর

(১৯) মালেক

(২০) ফেহের (অসাধারণ শক্তি-সামর্থ্যরে জন্য তাঁর লকব ছিল কোরায়েশ বিধায় আওলাদদের কোরায়শী বলা হয়)

(২১) গালেব

(২২) লোয়াই

(২৩) কায়াব থেকে দু’টি শাখা হয়েছে একটি

(২৪) মাররা

(২৫) তামিম

(২৬) সায়াদ

(২৭) কায়াব

(২৮) আমের

(২৯) উসমান আবু কোহাফা

(৩০) হযরত আবদুল্লাহ আবু বকর সিদ্দিক (রা.)

(৩১) হযরত মুহাম্মদ বিন আবু বকর

(৩২) হযরত কাসেম

(৩৩) হযরত আবদুর রহমান

(৩৪) হযরত আবদুর রহিম

(৩৫) আহমদ মুহাদ্দিস

(৩৬) আমজাদ

(৩৭) আসগার

(৩৮) আবুল এসহাক

(৩৯) শারেহ

(৪০) খাজা জাহেদ

(৪১) খাজা মুহাম্মদ

(৪২) ওয়ায়েস

(৪৩) নসিরুদ্দিন

(৪৪) নূরুদ্দিন আহমদ

(৪৫) বাহাউদ্দিন

(৪৬) সিরাজউদ্দীন

(৪৭) হেদায়েতুল্লাহ

(৪৮) শাহ নূর কুতুবুল আলম

(৪৯) শাহ আজিজুল্লাহ

(৫০) শাহ আব্দুল্লাহ

(৫১) শাহ কুতুব উদ্দীন হাক্কানী

(৫২) খাজা রুস্তম খোরাসানী

(৫৩) জিয়াউদ্দীন জাহেদ

(৫৪) মাওলানা মনসুর বাগদাদী

(৫৫) মাওলানা গিয়াসউদ্দীন

(৫৬) মাওলানা আশরাফ

(৫৭) মাওলানা মুহাম্মদ

(৫৮) শাহ কালু ওরফে কলিমুদ্দি্লা(৫৯) মাওলানা ইসমাইল বাগদাদী

(৬০) মাওলানা দাউদ

(৬১) মাওলানা খেজের

(৬২) হাজি মাওলানা মোস্তফা মাদানী

(৬৩) মাওলানা অজিহুদ্দীন মোজতবা

(৬৪) মাওলানা মোনাক্কা

(৬৫) মাওলানা গোলাম সালমানী

(৬৬) মোহাম্মদ মো’তাসেম বিল্লাহ

(৬৭) হাজি আব্দুল মোক্তাদের

(৬৮) মোজাদ্দেদে জামান আব্দুল্লাহিল মারুফ আবু বকর সিদ্দিকী

(৬৯) শাইখুল ইসলাম আবু নসর মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী

(৭০) মাওলানা আবুল আনসার মোঃ আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী

(৭১)  শায়খ আবুবকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী।

(ফুরফুরা শরীফের ইতিবৃত্ত, মুবারক আলী রহমানী, পৃ. ২৭৪-২৮২, প্রকাশক : নাসারীয়া প্রকশনা ট্রাস্ট, কলকাতা, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশকাল : ১৯৮৪ ঈসায়ী)

 

শাজরা

 

ফুরফুরার গদ্দীনশীন পীর সাহেবের খেলাফতের নেসবাত (শাজরা)


চিশতীয়া তরিকা

১। খাতামুন্নাবিয়্যীন রাহমাতুল্লিল আলামীন আহমাদ মুজতাবা মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
২। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা:) (মৃত্যু ১৩ হি:)
৩। হযরত ওমর ফারুক (রা:) (মৃত্যু ২৪ হি:)।
৪। হযরত উসমান গনী (রা:) (মৃত্যু ৩৫ হি:)।
৫। আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী (রা:) (মৃত্যু ৪০ হিজরী)।
৬। খাইরুত্তাবেঈন হযরত হাসান বসরী (রহ:)। (জন্ম ২২ হি:, মৃত্যু ১১০ হি:)।
৭। হযরত আব্দুল ওয়াহেদ বিন জায়েদ আবুল ফজল (রহ:)। (মৃত্যু ১৮৬ হি:, কবর বসরা)।
৮। হযরত ফুজায়েল ইবনে আইয়াজ (রহ:)। (মৃত্যু মহররম, ১৮৭ হি:, কবর মক্কায়)।
৯। হযরত সুলতান ইব্রাহীম ইবনে আদহাম (রহ:)। (জন্ম ৬১ হি:, মৃত্যু শওয়াল ১৬২ হি:, শামদেশে কবর)।
১০। হযরত হুজায়ফা আল মারআশী (রহ:)। (মৃ: ২০৭ হি:)।
১১। হযরত খাজা আবু হুবায়রা বসরী (রহ:)। (জন্ম ১৬৭ হি:, মৃত্যু ২৮৭ হি:)।
১২। হযরত খাজা উলু মুমশাদ দীনাওয়ারী (রহ:)। (মৃ: ১৪ই মহররম, ২৯৯ হি:)।
১৩। হযরত শেখ আবু ইসহাক চিশতী (রহ:)। (মৃ: ৩২৯ হি:, ৪ঠা রবিউল আখের)।
১৪। হযরত আবু আহ্ম্মদ আবদাল চিশতী (রহ:)। (জন্ম ২৬০ হি:, মৃ: ৩৫৫ হি:, কবর চিশত)।
১৫। হযরত মুহাম্মদ চিশতী (রহ:) । (জন্ম ৩৩১ হি:, মৃ: ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ৪১১ হি:)।
১৬। হযরত নাছীর উদ্দীন আবু ইউসুফ চিশতী (রহ:)। (জন্ম ৩৭৪ হি:, মৃ: ৪৫৯ হি:, কবর চিশত)।
১৭। হযরত কুতুবউদ্দীন মউদুদ চিশতী (রহ:)। (জন্ম ৪৩০ হি:, মৃ: ৫২৭ হি:, কবর চিশত) ।
১৮। হযরত খাজা শরীফ জিনদানী (রহ:)। (জন্ম ৪৯২ হি:, মৃত্যু ৬১২ হি: বা ৫৮৪ হি:, কবর চিশত)।
১৯। হযরত ওসমান হারুনী (রহ:)। (জন্ম ৫২৭ হি:, হরূন নিশাপুরের একটি গ্রাম। ৫ই শওয়াল ৬৩২ হি: বা ৫৯৭ মক্কা শরীফে ইন্তেকাল করেন)।
২০। সুলতানুল হিন্দ খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী (রহ:)। (জন্ম ৫৩৭ হি:; মৃ: ৬ রজব, ৬৩৩ হি: বা ৬৩৭ বা ৬৩৬ বা ৬৩৫ হি:)।
২১। হযরত কুতুব উদ্দীন বখতিয়ার কাকী (রহ:)। (দিল্লীতে জন্ম ৫৬৩ হি:, মৃ: ৬৩৩ হি:)।
২২। হযরত শেখ ফরীদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জেশকর (শকর গঞ্জ) (রহ:)। (জন্ম ৫৫৪ হি:. মৃ: ৬৪৯ হি:)।
২৩। হযরত খাজা নিজামুদ্দীন শকর গঞ্জ (রহ:)। (জন্ম ৬৩৬ হি:, মৃ: ৭২৫ হি:)।
২৪। হযরত শেখ সিরাজ ওসমান আওধী (শেখ আখি সিরাজ) (রহ:)।
২৫। হযরত শেখ আলাউল হক বাংগালী (রহ:)।
২৬। হযরত খাজা নূর কুতুবুল আলম (রহ:)।
২৭। হযরত শেখ হিছাম্দ্দুীন মানিকপুরী (রহ:)।
২৮। হযরত সাইয়েদ রাজা হামেদ শাহ্ (রহ:)।
২৯। হযরত শেখ হাসান বিন তাহের (হোসেন তাহেরা) (রহ:)।
৩০। হযরত শেখ কাজী খান ইউসুফ নাছেহী (রহ:)।
৩১। হযরত শেখ আব্দুল আজীজ (রহ:)।
৩২। হযরত শেখ নাজমুল হক ছিনহুভী (রহ:)।
৩৩। হযরত শেখ কুতুবে আলম (রহ:)।
৩৪। হযরত মাওলানা শাহ্ রফী উদ্দীন (রহ:)।
৩৫। হযরত মাওলানা শেখ আব্দুর রহীম মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহ:)। (জন্ম ১০৫৪ হি:, মৃ: ১১৩১ হি:, ১২ই সফর, তিনি চারি তরিকার একাধিক পীরের নিকট মুরিদ হয়েছিলেন)।
৩৬। হযরত মাওলানা শাহ্ অলীউল্লাহ মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহ:)। (জন্ম ১১১৪ হি:, মৃ: ১১৭৬ হি:)।
৩৭। হযরত মাওলানা শাহ্ আব্দুল আজীজ মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহ:)। (জন্ম ১১৫৯ হি:, মৃ: ১২৩৯ হি:)।
৩৮। হযরত মাওলানা সাইয়েদ আহমদ শহীদ বেরলভী (রহ:)। (১২৪৬ হি:, ২৪শে জিলকাদ বালাকোট শহরে শহীদ হন)।
৩৯। গাজীয়ে বালাকোট শাহ্ সুফী নুর মোহাম্মদ নিজামপুরী (রহ:)। (কবর চট্টগ্রাম জেলার মালিয়াস গ্রামে)।
৪০। কুতবুল ইরশাদ, হযরত মাওলানা শাহ্ সুফী ফতেহ আলী ওয়ায়সী (রহ:)। (মৃত্যু ১৩০৪ হি:, ৮ই রবিউল আউয়াল, কবর ভারতের কলিকাতার মানিকতলায়)।
৪১। মোজাদ্দেদে জামান, আমীরে শরীয়ত, হযরত মাওলানা আবদুল্লাহিল মা’রূফ মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিকী (রহ:)। (জন্ম ১২৫৬ হি:, ইন্তেকাল ২৫শে মহররম, ১৩৫৮ হি:, শুক্রবার, কবর ফুরফুরা, ভারত)।
৪২। শায়খুল ইসলাম আবু নসর মোহাম্মদ আব্দুল হাই সিদ্দিকী (রহ:) (জন্ম ১৩২৩ হি:, ১৯০৩ ঈ; মৃত্যু ২৪ জুমাদাল আউয়াল ১৩৯৭ হি:, ১৩ই মে ১৯৭৭ ঈ; কবর ফুরফুরা, ভারত)।
৪৩। হযরত মাওলানা আবুল আনসার মোহাম্মদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী (রহ:) (জন্ম ১৯৪০ ঈ, মৃত্যু ২০ ডিসেম্বর ২০০৬ ঈ, কবর দারুস্সালাম, ঢাকা, বাংলাদেশ)।
৪৪। শায়খ আবু বকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী (জন্ম ১৯৭৮ ঈ)।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে হযরত আলী (রা:) পর্যন্ত খেলাফতের ধারাবাহিকতায় অনেকে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:), উমর ফারুক (রা:) ও উসমান গণী (রা:)-কে অন্তর্ভূক্ত করেছেন; আবার কেউ কেউ নবীজী থেকে সরাসরি আলী (রা:)-কে দেখিয়েছেন।

 


কাদেরিয়া তরিকা


১। সাইয়েদুল আম্বিয়া হযরত আহমাদ মুজতাবা মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
২। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা:) (মৃত্যু ১৩ হি:)।
৩। হযরত ওমর ফারুক (রা:) (মৃত্যু ২৪ হি:)।
৪। হযরত উছমান গনী (রা:) (মৃত্যু ৩৫ হি:)।
৫। আমীরুল মু’মিনীন হযরত আলী (রা:) (মৃত্যু ৪০ হিজরী)।
৬। সাইয়েদোশশোহাদা হযরত ইমাম হোসাইন (রা:)।
৭। হযরত ইমাম জয়নুল আবেদীন (রহ:)।
৮। হযরত ইমাম মোহাম্মদ বাকের (রহ:)।
৯। হযরত ইমাম জাফর সাদেক (রহ:)।
১০। হযরত ইমাম মূসা কাজেম (রহ:)।
১১। হযরত ইমাম মূসা আলী রেজা (রহ:)।
১২। হযরত খাজা শেখ মারূফ কারখী (রহ:)।
১৩। হযরত খাজা আবুল হোসাইন র্ছরী ছখ্তী (রহ:)।
১৪। হযরত সাইয়েদ জোনায়েদ বোগদাদী (রহ:)।
১৫। হযরত আবু বকর মোহাম্মদ বিন দিলফ বিন মোহাম্মদ শিবলী (রহ:) (জন্ম ২৪৭ হিযরী; মৃত্যু ৩১৪ হিযরী)। ১৬। হযরত শেখ আব্দুল আজীজ বিন হারেছ তামিমী (রহ:)।
১৭। হযরত শেখ আব্দুল ওয়াহেদ তামিমী (রহ:)।
১৮। হযরত শেখ আবুল ফারাহ মোহাম্মদ তারতূছী (রহ:)।
১৯। হযরত শেখ আবুল হোসেন কোরায়শী (হেকারী) (রহ:)।
২০। হযরত শেখ আবু সাঈদ মাখজুমী (রহ:)।
২১। হযরত শেখ সাইয়েদ মহীউদ্দীন আব্দুল কাদের জিলানী (রহ:) (জন্ম ৪৭ হি:, মৃত্যু ৫৬১ হি:)।
২২। হযরত সাইয়েদ আব্দুর রাজ্জাক (রহ:)।
২৩। হযরত সাইয়েদ শরফুদ্দীন কাত্তাল (রহ:)।
২৪। হযরত সাইয়েদ আব্দুল ওহ্হাব (রহ:)।
২৫। হযরত সাইয়েদ বাহাউদ্দীন (রহ:)।
২৬। হযরত সাইয়েদ আকীল (রহ:)।
২৭। হযরত সাইয়েদ শাসমুদ্দীন চাহ্রায়ী (রহ:)।
২৮। হযরত সাইয়েদ গাদার রহমান আউয়াল বিন আনুল হোসেন (রহ:)।
২৯। হযরত সাইয়েদ শামসুদ্দীন আরেফ রহরায়ী (রহ:)।
৩০। হযরত সাইয়েদ গাদার রহমান ছানী বিন আনুল হোসেন (রহ:)।
৩১। হযরত শাহ্্ ফোজায়েল (রহ:)।
৩২। হযরত শাহ কামাল কেতীহ্্লী (রহ:)।
৩৩। হযরত মখদুম আব্দুল আহাদ ছিরহিন্দী (রহ:)।
৩৪। হযরত ইমামে রব্বানী মোজাদ্দিদে আলফেছানী শেখ আহমদ ফারুকী ছিরহিন্দী (রহ:)।
৩৫। হযরত শেখ আদম বিন্নুরী (রহ:)।
৩৬। হযরত সাইয়েদ ওবাইদুল্লাহ আকবরাবাদী (রহ:)।
৩৭। হযরত মাওলানা শেখ আব্দুর রহীম মোহাদ্দেছে দেহ্লভী (রহ:)।
৩৮। হযরত মাওলানা শাহ্ অলী উল্লাহ মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহ:)।
৩৯। হযরত মাওলানা শাহ্ আব্দুল আজীজ মোহাদ্দেছে দেহ্লভী (রহ:)।
৪০। হযরত মাওলানা শাহ্ সাইয়েদ আহমদ শহীদ বেরলবী (রহ:)।
৪১। হযরত শাহ্ সুফী নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী গাজীয়ে বালাকোট (রহ:)।
৪২। কুতবুল ইরশাদ হযরত শাহ্ সুফী ফতেহ আলী ওয়ায়সী (রহ:)।
৪৩। মোজাদ্দেদে জামান হযরত মাওলানা আবদুল্লাহ আল মা’রূফ আবুবকর সিদ্দিকী (রহ:)।
৪৪। শায়খুল ইসলাম আবু নসর মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী (রহ:)।
৪৫। নায়েবে মোজাদ্দেদ শেরে ফুরফুরা হযরত মাওলানা আবুল আনসার মোহাম্মদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী (রহ:)। (জন্ম ১৯৪০ ঈ, মৃত্যু ২০ ডিসেম্বর ২০০৬ ঈ, কবর দারুস্সালাম, ঢাকা, বাংলাদেশ)
৪৬। শায়খ আবু বকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী।(জন্ম ১৯৭৮ ঈ)

 

নক্শবন্দিয়া মোজাদ্দেদিয়া তরিকা

 


১। হযরত আহমদ মুজতাবা মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
২। হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাযিয়াল্লাহু আনহু (মৃত্যু ১৩ হি:)।
৩। হযরত সালমান ফারসী (রা:)। (মৃত্যু ৩৫ হি:, মদিনা, সৌদি আরব)।
৪। হযরত সাইয়েদুত্তাবেয়ীন কাসেম বিন মোহাম্মদ বিন আবু বকর (রহ:)। (মৃত্যু ১০৭ হি:, মদিনা, সৌদি আরব)। ৫। হযরত ইমাম জাফর সাদেক (রহ:)। (মৃত্যু ১৪৮ হি:, মদিনা, সৌদি আরব)।
৬। হযরত ইমাম মুসা কাজেম (রহ:)।
৭। হযরত ইমাম মুসা আলী রেজা (রহ:)।
৮। হযরত শেখ মারূফ কারখী (রহ:)।
৯। হযরত শেখ আবুল হোসাইন ছররী ছখতী (রহ:)।
১০। হযরত জোনায়েদ বাগদাদী (রহ:)।
১১। হযরত খাজা আবু আলী রোদবারী (রহ:)।
১২। হযরত শেখ আবুল কাসেম নছরাবাদী (রহ:)।
১৩। হযরত শেখ আবু আলী দাক্কাক (রহ:)।
১৪। হযরত ইমাম আবুল কাসেম গুরগানী (রহ:)। (মৃত্যু ৪৫০ হি:, গুরগান, ইরান)।
১৫। হযরত খাজা আবু আলী ফারমাদী (রহ:)। (মৃত্যু ৪৭৭ হি:, তুস, খোরাশান, ইরান)।
১৬। হযরত খাজা আবু ইউসুফ হামদানী (রহ:)। (মৃত্যু ৫৩৫ হি:, মারু, খোরাশান, ইরান)।
১৭। হযরত খাজা আবদুল খালেক গেজদাওয়ানী (রহ:)। (মৃত্যু ৫৭৫ হি:, গেজদাওয়ান, বুখারা, উজবেকিস্তান)। ১৮। হযরত খাজা আরিফ রেউগরী (রহ:)। (মৃত্যু ৬১৬ হি:, রেউগার, বুখারা, উজবেকিস্তান)।
১৯। হযরত খাজা মাহমুদ আঞ্জীর ফাগনুভী (রহ:)। (মৃত্যু ৭১৫ হি:, ওয়াকনি, মাওমোরানাহার, উজবেকিস্তান)। ২০। হযরত খাজা আজিজান আলী রামিতনী (রহ:)। (মৃত্যু ৭১৫ হি:, খোয়ারিজম, বুখারা, উজবেকিস্তান)।
২১। হযরত খাজা মোহাম্মদ বাবা শাম্মাছী (রহ:)। (মৃত্যু ৭৫৫ হি:, সাম্মাস, বুখারা, উজবেকিস্তান)।
২২। হযরত খাজা সাইয়্যেদ শাহ আমীর কুলাল (রহ:)। (মৃত্যু ৭৭২ হি:, সৌখার, বুখারা, উজবেকিস্তান)।
২৩। হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দ বুখারী (রহ:)। (মৃত্যু ৭৯১ হি:, কাসর-ই-আরিফান,বুখারা,উজবেকিস্তান)
২৪। হযরত আবাশউদ্দীন (আলাউদ্দীন) আখতার (রহ:)। (জাফানিয়ান, মাওরানাহার, উজবেকিস্তান)।
২৫। হযরত ইয়াকুব চরখী (রহ:)। (মৃত্যু ৮৫১ হি:, তাজাকিস্তান)।
২৬। হযরত ওবায়দুল্লাহ আহরার (রহ:)। (মৃত্যু ৮৯৫ হি:, সমরখন্দ, উজবেকিস্তান)।
২৭। হযরত মোহাম্মদ জাহেদ ওয়াকশী (রহ:)। (মৃত্যু ৯৩৬ হি:, ওয়াকশ মালক হাসার)।
২৮। হযরত দরবেশ মোহাম্মদ (রহ:)। (মৃত্যু ৯৭০ হি:, সমরখন্দ, উজবেকিস্তান)।
২৯। হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আমকাঙ্গী (রহ:)। (মৃত্যু ১০০৮ হি:, বুখারা, উজবেকিস্তান)।
৩০। হযরত রাযীউদ্দিন মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ (রহ:)। (মৃত্যু ১০১২ হি:, দিল্লী, ভারত)।
৩১। হযরত মুজাদ্দিদে আলফেসানি শেখ আহমাদ ফারুকী সিরহিন্দী (রহ:)। (মৃত্যু ১০৩৪ হি:, সিরহিন্দ, ভারত)। ৩২। হযরত শায়খ আদম বিন্নূরী (রহ:)।
৩৩। হযরত সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ আকবরাবাদী (রহ:)।
৩৪। হযরত শেখ আব্দুর রহীম মোহাদ্দেছে দেহ্লভী (রহ:)।
৩৫। হযরত শাহ্ অলী উল্লাহ মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহ:)।
৩৬। হযরত শাহ্ আব্দুল আজীজ মোহাদ্দেছে দেহ্লভী (রহ:)।
৩৭। হযরত সাইয়্যেদ আহমদ শহীদ বেরলভী (রহ:)।
৩৮। হযরত শাহ্ সুফী নূর মোহাম্মদ নিজামপুরী গাজীয়ে বালাকোট (রহ:)।
৩৯। কুতবুল ইরশাদ হযরত শাহ্ সুফী ফতেহ আলী ওয়ায়সী (রহ:)।
৪০। মোজাদ্দেদে জামান হযরত মাওলানা আবদুল্লাহ আল মা’রূফ মোহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিকী (রহ:)।
৪১। শায়খুল ইসলাম আবু নসর মো: আব্দুল হাই সিদ্দিকী (রহ:)।
৪২। শেরে ফুরফুরা হযরত মাওলানা আবুল আনসার মোহাম্মদ আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী (রহ:)। (জন্ম ১৯৪০ ঈ, মৃত্যু ২০ ডিসেম্বর ২০০৬ ঈ, কবর দারুস্সালাম, ঢাকা, বাংলাদেশ)
৪৩। শায়খ আবু বকর আব্দুল হাই মিশকাত সিদ্দিকী।(জন্ম ১৯৭৮ ঈ)

মাসিক দরস সভা

আরবী মাসের প্রথম সপ্তাহের সোমবার আমাদের মাসিক দারস শুরু হয় , এটি বাদ মাগরিব শুরু হয় তারপর আবার এশা শেষে শুরু করে রাত ১০ টায় শেষ হয় , আপনি চাইলে আমাদের সভায় যোগ দিতে পারেন